সিলেটে বন্যা: সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ জকিগঞ্জের মৎস্য চাষিরা

সিলেটে বন্যা: সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ জকিগঞ্জের মৎস্য চাষিরা

ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেট মহানগরীসহ জেলার প্রায় সবকটি উপজেলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে সিলেট মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ১১টি উপজেলার মৎস্য চাষি ও খামারিদের। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন জকিগঞ্জের মৎস চাষি ও খামারিরা।তবে মৎস্য অধিদপ্তর ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে খামারিরা সহজ শর্তে সরকারি ঋণ চাচ্ছেন।

মৎস্য অধিদপ্তর সিলেটের কর্মকর্তা এবং ভুক্তভোগী মৎস্য খামার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যায় সিলেট জেলার ১১টি উপজেলার দুই হাজার ২৯৬.৭ হেক্টর আয়তনের ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি ও খামার প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে দুই হাজার ৩০৫.৫৭ মেট্রিক টন মাছ। টাকার হিসাবে তা দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৮৭ হাজার। মাছের পাশাপাশি ভেসে গেছে দুই কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার পোনাও। টাকার হিসাবে যা তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার। এতে ক্ষতির মুখে পড়ে দিশাহারা জেলার ১৫ হাজার ১৬৩ জন মৎস্য চাষি ও খামার মালিক।

মৎস্য অধিদপ্তর সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য চাষি ও খামার মালিকরা।বিশেষ করে অমলসিদে তিন নদীর মোহনায় কুশিয়ারার ডাইক (বাঁধ) ভাঙায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।শুধু এই উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ছয় হাজার ৩৫০টি পুকুর, দিঘি ও খামার। ভেসে গেছে ৩৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ৪০ লাখ মাছের পোনা।এতে ক্ষতি হয়েছে ছয় কোটি ২২ লাখ টাকা।

ক্ষতির দিক দিয়ে এর পরই আছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। সেখানে দুই হাজার ৫৯২টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতির মুখে দুই হাজার মৎস্য চাষি ও খামার মালিক।

এরপর যথাক্রমে কানাইঘাট উপজেলায় দুই হাজার ৩৫০টি, জৈন্তাপুরে দুই হাজার ১০০টি, বিশ্বনাথে দুই হাজার ১৫০টি, বিয়ানীবাজারে এক হাজার ৪০২টি, গোলাপগঞ্জে ৮৪৫টি, সিলেট সদর উপজেলায় ৫৩৫টি, দক্ষিণ সুরমায় ২১০টি, কোম্পানীগঞ্জে ১৪৫টি এবং বালাগঞ্জ উপজেলায় ৭০টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে।

সিলেটের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ ক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। ’