সিলেটে লাল-নীল বাতির সাজে জমেছে ঈদবাজার

সিলেটে লাল-নীল বাতির সাজে জমেছে ঈদবাজার

সিলেটে লাল-নীল বাতির সাজে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। দিনের বেলা ক্রেতা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর বিপনী বিতান আর শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়।

নগরীর জিন্দাবাজারের ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, আল-হামরা শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিং মলে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছে আর দোকানে দোকানে তুলেছে বাহারী ডিজাইনের পোশাক।

অপরদিকে কুমারপাড়া ও নয়াসড়ক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের সমাগম তেমন একটা নেই। এই দুই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, তুলনামূলক দিনের থেকে রাতের বেলা ক্রেতারা বেশী আসছেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি হাতেগোনা আর কয়েকদিন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো সিলেট। নগরীর প্রতিটি মার্কেট আর শপিং মলে লাল-নীল বাতির আলোয় উজ্জ্বল পবিত্র এই নগরী।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দুই বছর পর ব্যবসায় গতি ফিরে আসায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।

আল হামরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী রুহেল আহমদ বলেন, 'পর্যাপ্ত পোশাক আছে। কেনাকাটাও শুরু হয়েছে। তবে দিনে ক্রেতারা একেবারেই কম আসছেন। আবার রাত আটটার পর থেকে পুরো মার্টেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে ১টা-২টা পর্যন্ত।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, এবার ঈদে বেচাকেনা ভালো আছে। তবে এখন রাতের বেলায় ক্রেতারা বেশী আসছেন। আশা করিছি ২০-২২ রমজানের পর পুরোধমে বেচাকেনা শুরু হবে।

তিনি জানান, যেহেতু লাল-নীল বাতির রঙে প্রতিটি মার্কেট সাজানো হয়েছে তাই অনেকে পরিবার নিয়ে এই সৌন্দর্য দেখতে রাতের বেলা ভিড় জমান।

এদিকে সিলেটে দর্জিপাড়ায় যেন সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অর্ডার নেয়া। ফলে শেষ  ‍মুহূর্তে দর্জি দোকানে ছুটছেন ফ্যাশন প্রিয়রা। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জির দোকানগুলোতে।

মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) এবিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, দশ রমজানের পর থেকে শহরের প্রতিটি মার্কেটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি রাখছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশী তল্লাশি অব্যাহত আছে।