সিলেটে ৪৪৩ বন্যার্তের মাঝে ইউসেপ বাংলাদেশের ত্রাণ বিতরণ

সিলেটে ৪৪৩ বন্যার্তের মাঝে ইউসেপ বাংলাদেশের ত্রাণ বিতরণ

ইউসেপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউসেপ শিক্ষার্থীদের পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টা থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট মহানগরের ঘাসিটুলা, বালুচর এবং বটেশ্বর এলাকায় অবস্থিত ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে মোট ৪৪৩ জনের মধ্যে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পিয়াঁজ, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, ডিটারজেন, সাবান ইত্যাদি।

সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে সহযোগিতা করেন স্কুলগুলোর শিশু পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

বিকেল ৩টায় ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলে ইউসেপ সিলেট রিজিয়নের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কাইউম মোল্লার সভাপতিত্বে ২৪৫ জন বন্যার্তের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ইউসেফ সিলেট অঞ্চলের এমপ্লোয়ার্স কমিটির সদস্য ছামির মাহমুদ।

এসময় হেড অব টিভেট ইন্সটিটিউট প্রবীর কুমার পাল, ইউসেপ হাফিজ মজুমদার টেকনিক্যাল স্কুল সিলেটের সেন্টার ইনচার্জ মো. লাভলু মিয়া, ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক মো. শাহ আলম, কৃষ্ণ চন্দ্র দেব, শাহিদা জামান ও শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ইউসেপ সোলায়মান চৌধুরী বালুচর টেকনিক্যাল স্কুলের ৩০ জন বন্যার্তের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টেকনিক্যাল স্কুলে ৬৭ জন এবং ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টিভেইটি ইনস্টিটিউটে ১০১ জন বন্যার্তকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো. আব্দুল করিম এর আহবানে ইউসেপ বাংলাদেশের সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের একদিনের বেতনভাতা দিয়ে সিলেটের বন্যার্তদের মধ্যে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ইউসেপ বিশ্বাস করে, যদি ইউসেপ বাংলাদেশ এর মতো অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সংগঠন যদি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের ক্ষতির কিছুটা অংশ হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে।

ইউসেপ বাংলাদেশ একটি শীর্ষস্থানীয় এনজিও যা বাংলাদেশের আটটি জেলার সর্বমোট ৩৫টি কারিগরি স্কুল ও ১০টি টিভেট ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে মোট ২৫ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং যুবাদের কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে, কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।