সিলেটের বিমানবন্দর ব্যবহার করবে ভারত!

সিলেটের বিমানবন্দর ব্যবহার করবে ভারত!

যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তারা কখনো গণতন্ত্রের কথা বলে, আবার কখনো সুশাসন, সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির কথা বলে এরকম চাপ সৃষ্টি করে। এটা তাদের একটি রাজনীতি।  

শুক্রবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কে দাওয়াত দিল আর না দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। এটা অন্য কেউ করে দিবে না। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দাওয়াত না দেয়া নিয়ে এতো চিন্তা কেন। দুনিয়াজুড়ে তো শত শত সম্মেলন হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন অনেক কষ্ট করে এটা আয়োজন করেছেন। তারা নিজেও অনেক ঝামেলায় আছে। এরকম একটি পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের লোকজনই শেখায়। 

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে স্থীতিশীল গণতন্ত্র আছে। সব দেশেরই ব্যতয় আছে, দুর্বলতা আছে। সব বিষয় সামনে নিয়ে দিনে দিনে যাতে ভাল করতে পারি তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্যের ফরমায়েশে গণতন্ত্র হয় না। আমরা আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী করবো কে দাওয়াত দিল, আর না দিল তা নিয়ে দুঃচিন্তা কেন? বরং আমাদের চিন্তা করা উচিত আগামী নির্বাচনে যাতে একটি লোকও মারা না যায়। কোথাও কোন বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধান করার চেষ্টা করবো। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এদেশে এক সময় গণতন্ত্র ছিল না,  দেশের মানুষই গণতন্ত্র এনেছে। আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি, গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি।   কাকে দাওয়াত দিবে এটাও তাদের বিষয়। ’

সকালে ৯টার দিকে একদিনের সফরে সিলেটে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, এমপি। বিমানবন্দের নেমেই নির্মাণাধীন নতুন কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনেক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে শুধু সিলেটের মানুষ নয়, ভারতের ‘সেভেন সিস্টারের’ লোকজন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই বিমানবন্দর এই অঞ্চলের আকাশপথের যাত্রীদের একটি হাব হবে। এখন সিলেট থেকে দুটি দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাচ্ছে। আগামীতে সরাসরি আরও অনেক ফ্লাইট বাড়বে। কার্গো টার্মিনালের কাজ শেষ হলে এখান থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবেন। সিলেটের অনেক কৃষিপণ্য বিদেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। ’ 

পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।