সিলেটের যে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নিজেই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী

সিলেটের যে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নিজেই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ‌‌‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পুরো উপজেলাজুড়ে এখন চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছে, সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও নিচের সারির নেতাদের অপরাধ কী?

জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল ২০১৬ সালে গজনাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। 

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ৭ জুলাই তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে চেয়ারম্যান পদ ফিরে পান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমেদ চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। 

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল নিজেই বিদ্রাহী প্রার্থী হয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন দাখিল করেন। মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। 

নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুকুলসহ বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে মৌখিক আলাপ-আলোচনা চলছে। তিনি নির্ধারিত সময়ে মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নেবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে জেলা আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজেই বিদ্রোহী প্রার্থী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।