সিসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন এডভোকেট জামান!

সিসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন এডভোকেট জামান!

যত দিন ঘনিয়ে আসছে ততই যেনো চলছে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটের মাঠের হিসাব নিকাশ। নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদেরও আগ্রহের কমতি নেই। কাকে ভোট দেবেন, না দেবেন তা নিয়েও পরিবার পরিজনদের সাথে চলছে আলাপ আলোচনা।

সিসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই একমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া আর কারো প্রার্থীতাই চূড়ান্ত নয়।সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থীরা কিছু বলছেন না।সময় বুঝে সিদ্ধান্ত জানাবেন এমনটাই জানা গেছে।

এদিকে, নতুন করে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় নাম শুনা যাচ্ছে একজনের। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নাম মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। তিনি হচ্ছেন এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠজনেরা আভাস দিয়েছেন।

তার ঘনিষ্ঠনরা জানান, বিএনপির সরকারবিরোধী দলীয় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত মেয়র আরিফুল নির্বাচনে না এলে বিএনপির সাবেক নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান প্রার্থী হতে পারেন।

সূত্র বলছে,কয়েকদিনের মধ্যে তিনি নিজের প্রার্থিতার ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

জানা যায়, সিলেট বিএনপির একসময়ের আলোচিত নেতা ছিলেন সামসুজ্জামান জামান।১৯৮৫ সালে ছাত্রদলে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি।ধীরে ধীরে তার আধিপত্য বাড়ে।একসময় বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলোতে তার বিশাল বলয় তৈরি হয়।

তবে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট সামসুজ্জামান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

তিনি ঘোষণার পর তার অনুসারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের জেলা ও মহানগর পর্যায়ের প্রায় তিন শ পদধারী নেতা কয়েক দিনের ব্যবধানে পদত্যাগ করেন।

জামান অনুসারীরা বলছেন, বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও দল ও দলের বাইরে সামসুজ্জামানের এখনো একটা কর্মীবাহিনী রয়েছে। বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি।

সেই সংগঠনের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে দেখতে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

সম্প্রতি একাধিকবার তিনি তাঁর সমর্থক কর্মীদের নিয়ে নানা ধরনের সভাও করেছেন। এখন সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সামসুজ্জামান আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে পারেন, এমন প্রচারণা তাঁর সমর্থকেরা চালাচ্ছেন।

এরআগে ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামান মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হন। এখন নগরে তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হয়েছে বলে মনে করেন জামান সমর্থকেরা।

এব্যাপারে জানতে চাইলে এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, এখন কিছু বলতে চাই না।আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক-সামাজিক অঙ্গনের নেতাসহ সাধারণ মানুষের প্রেশার (চাপ) আছে।নগরীর সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মতামত দিচ্ছেন মূল্যায়ন করছি। বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। খুব শীঘ্রই সবকিছু জানতে পারবেন।

উল্লেখ্য- নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। ২৩ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১ জুন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।