হবিগঞ্জে বিএনপি ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

হবিগঞ্জে বিএনপি ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা করানোর দাবিতে বুধবার হবিগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশেকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দু হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হাশেম ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জি কে গউসসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৭টায় এসআই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছেন । মামলায় সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, ইট-পাটকেল ও দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশকে আহত করা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ ভবনের দরজা-জানালার কাঁচ ভাংচুর, পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর, শহরের প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি, জিকে গউসের বসার সামনে বিনা অনুমতিতে রাস্তা বন্ধ করে মঞ্চ তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউস বলেন, ‘আমরা যাতে সভা-সমাবেশ যাতে করতে না পারি এ লক্ষ্যে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য স্থানীয় সাংসদের প্ররোচনায় প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। পুলিশ আমাদের সমাবেশের  মঞ্চ ভাংচুর করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য মাঠে নেমেছে।’

জানা গেছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে পুলিশ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় জি কে গউসের বাসার সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করতে দেয়নি পুলিশ।  দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ স্থলে যাওয়ার চেষ্টা নিয়ে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ।  উভয়পক্ষ একে অপরের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রায় ১৩ শ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এ সময় ওই এলাকায়  যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাসাবাড়িতে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় পুলিশসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ নেতাকর্মী আহত হন।

পরে সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার সিপা,  যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

হবিগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাসুক আলী সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় ছয়-সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।