১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি
চোখের পলকেই বাড়ছে পানি। পানি দেখে খাটের উপর তুলছেন খাট, সেই খাটও তলিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে সাপ এবং নানা ধরণের বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয় তো আছেই। নেই বিদ্যুৎ, বন্ধ হয়ে আছে মুঠোফোন। চুলোয় জ্বলছে না আগুন। খাবার নেই। এ যেন 'মহাবিপদে' লাখ লাখ মানুষ।
তবর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। পৌঁছে দিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া খাদ্য এবং চিকিৎসাসেবাও দিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন বন্যাকবলিত সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ৯০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়, লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যায়। উদ্ধারের জন্য সিভিল প্রশাসন জলযান নিয়ে মাঠে নামে। সিলেট এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন, পানিবন্দির তুলনায় জলযান অপ্রতুল।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশের ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত। এসব এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।