সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মরণ সভায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

‘এক অনন্য প্রতিভাধর মানুষ মুহিত’

‘এক অনন্য প্রতিভাধর মানুষ মুহিত’

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন বহুবিধ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ ও বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে চিরদিন তার অবদানকে স্মরণ করবে।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মরণে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শী নির্দেশনায় দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সুসম্পন্ন হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সুষ্ঠুভাবে সব দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্ষিক বাজেটেও তিনি জনকল্যাণমূলক অসংখ্য প্রস্তাব গ্রহণে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন৷

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নারী জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতার সূচনায়, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আবদুল মুহিত সর্বক্ষণ কাজ করে গেছেন। দেশের অর্থনীতিতে অর্ধেক নারী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই যে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে, তিনি এ মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন।

স্পিকার বলেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে সিভিল সার্ভিসে সুযোগ লাভ করা এ অনন্য প্রতিভাধর মানুষটি ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং পরে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ দেওয়া হয়।  মোট ১১ বার এবং টানা ৯ বার বাজেট প্রদানকারী সাবেক এ অর্থমন্ত্রী সিলেটকে সর্বদা ভালোবেসেছেন এবং কর্মময় জীবনের বিভিন্ন অংশে সিলেটের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সভার আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, হার্ভার্ড স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. বিমলাংশু দে, জাতীয় অধ্যাপক ড. শায়লা খাতুন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন।