'জ্বালানি-সংকট': সিলেটে ২২ জানুয়ারি থেকে পাম্পে ধর্মঘটের ঘোষণা

'জ্বালানি-সংকট': সিলেটে ২২ জানুয়ারি থেকে পাম্পে ধর্মঘটের ঘোষণা

সিলেট বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানিসংকট চলছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

২২ জানুয়ারি থেকে সিলেট বিভাগের ১১৪টি পাম্পে তেল বিক্রি এবং জ্বালানি সরবরাহকারী ডিপোগুলোতে ১৮ জানুয়ারির পর তেল সংগ্রহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

গত শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন আহমদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হুমায়ন আহমদ বলেন, ‘এর আগেও ধর্মঘটের ডাক দিলে জ্বালানিসংকট সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর আগের মতোই চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ কম জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনসাধারণের ভোগান্তি বিবেচনায় ধর্মঘটের ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হচ্ছি।’

সিলেট থেকে উৎপাদিত জ্বালানি বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয় দাবি করে হুমায়ন বলেন, এরপরও সিলেটকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশনকে একাধিকবার বিষয়টি অবহিত করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসন মো. মজিবর রহমান বলেন, সিলেটে, এমনকি দেশে কোনো জ্বালানিসংকট নেই। ওই অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগের নেতারা সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় সংকট বা দাবি নিয়ে কোনো কিছু বলেননি তাঁরা।

সংগঠনের নেতাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সিলেট বিভাগে ১১৪টি পেট্রল ও ডিজেল পাম্প রয়েছে। পাম্পগুলোতে প্রতিদিন ১০ লাখ লিটার ডিজেল এবং তিন লাখ লিটার পেট্রল ও অকটেনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এসব পাম্পে স্থানীয় ডিপোগুলো থেকে দিনে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার পেট্রল ও অকটেন এবং চার লাখ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়।

চাহিদার বাকি জ্বালানি সিলেটের বাইরে থেকে সংগ্রহ করেন পাম্পের মালিকেরা। এতে পাম্পের মালিকদের খরচ বেশি পড়ছে। এ জন্য কয়েক বছর ধরে তাঁরা সিলেটে জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এর আগে গত বছরের ৯ মার্চ সিলেটে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে ট্যাংকলরি নিয়ে মিছিল করেছিল ট্যাংকলরির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন এবং তেল-গ্যাস ব্যবসায়ীদের পাঁচটি সংগঠন।