৭ বছর ধরে ভেঙে আছে সেতু, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

৭ বছর ধরে ভেঙে আছে সেতু, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর সেতুটি সাত বছর আগে ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মানের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।এতে ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ জন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দেড় কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের।

শনিবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুর ভাঙা অংশ নদীতে পড়ে আছে। আর বাকি অংশটা নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।

এলাকাবাসী ও স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০০ সালের স্থানীয়ন সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে উপজেলা পাটলী ইউনিয়নের প্রভাকরপুর -নন্দীরগাঁওগাঁও মসজিদ সড়কের নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নদীর প্রবল স্রোতে ২০১৬ সালে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়কে যান চলাচল। এর পর থেকে এলাকাবাসী নতুন সেতু  নির্মানের দাবি জানালেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।তবে সেতুর মুখ পর্যন্ত পাকা সড়ক হয়েছে।

স্হায়ীন বাসিন্দা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা গিয়াস উদ্দিন বলেন,সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন দেড় কিলোমিটার ঘুরে কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটে ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ করা হলে তাঁদের যাতায়াত সহজ হতো।

পাটলী ইউনিয়ন উইমেন্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীর রেশমা বলেন, কলেজের বাস নদীর ওই পারে দাঁড়ানো থাকে। যেখানে ৫ মিনিটে যাওয়া যেতো,সেখানে এখন প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটা লাগে।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)সদস্য ছায়াদ মিয়া বলেন,দীর্ঘ সাত বছর ধরে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ফলে ওই এলাকার ১০ গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভােগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার লোকজন ওই সেতু দিয়ে উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ, রসুলগন্জ বাজার ও স্কুল -কলেজের যাতায়াত করেন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্হানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কমে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলজিইডির  কর্মকর্তাদের সেতু নির্মানের জন্য বলা হয়েছে।  

এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, নতুন সেতু নির্মান তালিকায় এ সেতুটির কথা উল্লেখ নেই। তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে নতুন সেতু নির্মানের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।