শাবির উপাচার্য ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অনশনরত রাতুল

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অনশনরত রাতুল

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন শাহরিয়ার রাতুল অমরণ অনশন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে। অনশন শুরু করেছেন প্রায় ৯৭ ঘণ্টা হয়ে গেছে; দুর্বল হয়ে গেছে তার শরীর। এখন তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথায়। চিকিৎসক তাকে মেডিসিন বিভাগ থেকে সার্জারি বিভাগে পাঠাতে বলেছেন। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতেও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন আমরণ অনশন।

রোববার দুপুরে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রাতুল মেডিসিন বিভাগের ৭০ নম্বর বেডে শুয়ে আছেন। তার সহপাঠীরা বসে রাতুলের সেবা করছেন।  এ সময় পরিচয় দিয়ে রাতুলের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে একটু একটু ব্যথা করছিল পেটে। প্রথমে ব্যথা পেটের মাঝখানে থাকলেও ধীরে ধীরে ডান পাশে ব্যথা অনুভব হয়। পরে হাসপাতালে এসে ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করে নিশ্চিত হন এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা।’

রাতুল আরও বলেন, ‘ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। কিন্তু ব্যথায় এখন খুব কষ্ট হচ্ছে।’ কথাগুলো বলার সময় তার চোখে পানি দেখা যায়।

তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে ইনফেকশন রেট বেশি হলে তাকে অপারেশন করতে হবে। আর কম থাকলে আপাতত অ্যান্টিবায়োটিক নিলেই হবে। এ জন্য আগে পরীক্ষা করতে হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, ‘তাকে মেডিসিন বিভাগ থেকে সার্জারি বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। তার এটি অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা। যে কোনো সময় অপারেশন করতে হতে পারে।’

এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর বাবা হার্ট অ্যাটাক করায় তিনি বাড়িতে চলে যান। এ ছাড়া বাকি ২৩ শিক্ষার্থী এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে মোট ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে চারজন শিক্ষার্থী আবারও ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন।

অন্যদিকে শনিবার গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণার পর আরও তিন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন।

বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়। সেখানে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ ঘটনায় পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ না করে মামলা করেছে পুলিশ। এর পর গত বুধবার দুপুর ২টা ৫০ থেকেই ভিসির বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।