ইভ্যালির সার্ভার বন্ধ
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সার্ভার বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমরা এই কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।
‘চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে। আর এই সুযোগ পেলে সকলের সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম; আছি, থাকব।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আমাদের সকল এমপ্লয়ি শঙ্কার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। আমাদের সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় আমাদের ব্যাংকিংও সাময়িকভাবে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভারসহ অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের এমপ্লয়িগণের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
‘আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত সিইওর বক্তব্য হলো সুযোগ এবং সময় পেলে আমাদের পক্ষে ৪ মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে ওঠা সম্ভব।’
ভেরিফায়েড পেজে বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুনরায় দ্রুত সার্ভার চালু করে দেয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
‘গ্রাহক এবং সেলারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে আমাদের এই যাত্রায় আমরা আপনাদের পাশে পেয়েছি সবসময়। আপনাদের এই ভালোবাসায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতেও আমরা এভাবে আপনাদের পাশে চাই।’
ইভ্যালির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগ ছিল অনেক দিন ধরে। এসবের মাঝে গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর গুলশান থানায় করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এই মামলায় রিমান্ড শেষে ধানমন্ডি থানায় করা অর্থ আত্মসাতের অপর এক মামলায় রাসেলকে ফের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আসামি দুজনই বর্তমানে কারাগারে।