শাবিপ্রবি

উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের ১৯ ঘন্টা পার

উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের ১৯ ঘন্টা পার

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনকারী ২৪ শিক্ষার্থীের ১৯ ঘন্টা পার হয়েছে।

উপাচার্যের বাসভবনের বুধবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এই শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনশনকারী শিক্ষার্থীরা একই জায়গায় অবস্থান করছিলেন। তাদের সমর্থন ও সাহস জোগাতে আছেন আরও অনেক শিক্ষার্থী।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। এ সময় চলমান আন্দোলনে শিক্ষকদের সংহতি আছে কি না, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর আগে কোনো কথা বলবেন না তারা।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেননি। তাই শিক্ষার্থীরাও তাদের কথা বলার সুযোগ দেননি।

পরে শিক্ষকেরা রাত একটার দিকে আন্দোলনস্থল ছেড়ে যান।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ছাড়াও শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া ‘হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহার এবং ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল।

শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।