সুনামগঞ্জের ছাতক

ফেসবুক লাইভে হত্যা মামলার আসামিকে ওসির জিজ্ঞাসাবাদ! (ভিডিও)

ফেসবুক লাইভে হত্যা মামলার আসামিকে ওসির জিজ্ঞাসাবাদ! (ভিডিও)

সুনামগঞ্জের ছাতকে একটি হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের পর ফেসবুকে লাইভে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে 'ছাতক টু সুনামগঞ্জ' নামক একটি পেজে লাইভটি প্রচার করা হয়। লাইভ শুরুর পর পরই প্রায় ৫ হাজার মানুষ ভিডিওটি দেখেন।

ওসির কক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ফয়ছল আহমদের আইডি থেকে ‘ছাতক টু সুনামগঞ্জ’র ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। হত্যা মামলার আসামিকে লাইভে রেখে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্মিত হন সচেতন মহল।

আইনবিদরা বলছেন, ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের আসামিকে লাইভে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ গর্হিত অপরাধ। আসামির অপর সহযোগীদের তথ্য নেওয়া, রহস্য উদঘাটনের বদলে তদন্তকাজে বড় ধরণের ক্ষতির সমূহ আশংকা থাকে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে আখলাকুর রহমান ওরফে আখলাদ (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে খুন হন। রাতেই গ্রামের মাঠের ক্ষেতের জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আখলাদ গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের মোল্লা আতা গ্রামের জহির আলীর পুত্র ও গোবিন্দগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযানে একই ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র আবু সুফিয়ান সোহাগ ও বিশ্বনাথ উপজেলার দিঘলী-চাকলপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলমের পুত্র আলীম উদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। 

বৃহস্পতিবার রাতে ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের কক্ষ থেকে আসামি আবু সুফিয়ান সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করা হয়। ভিডিওতে গ্রেফতারকৃত আসামি ছাড়াও ছাতক থানার ওসি নাজিমউদ্দিন, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়।

তবে ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি এগুলো করিনি, অন্য কেউ হয়তো করেছে।

‘ছাতক টু সুনামগঞ্জ’র ফেসবুক পেজে যে আইডি থেকে লাইভ প্রচার করা হয় সেই চেয়ারম্যান ফয়ছল আহমদও ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তার পেজ থেকে এমন কিছু প্রচার করা হয়নি।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমি অবগত ছিলাম না, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।