বুলবুল হত্যায় প্রেমিকার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি: পুলিশ

বুলবুল হত্যায় প্রেমিকার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি: পুলিশ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে হত্যার ঘটনায় বুলবুলের কথিত প্রেমিকার সম্পৃক্ততা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসাথে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জালালবাদ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

তিনি বলেন, মূলত ছিনতাই করতেই বুলবুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আর এই ছুরিকাঘাত করেন কামরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে আবুল হোসেন ও মো. হাসান ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি টিলাগাঁও এলাকায়। তারা সকলেই গ্রেপ্তার রয়েছেন।

এদিকে বুলবুলের কথিত প্রেমিকা ঊর্মি প্রসঙ্গে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ঊর্মিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বলেছে, ঘটনার সময় বুলবুলের কাছ থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিল। বুলবুলের মানিব্যাগও খোয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা বলেছে, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতের পর রক্ত দেখে তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।’

ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে উর্মির চলে যাওয়া এবং কললিস্ট মুছে ফেলার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্কের কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘উর্মি হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, সে জানতে পারে নিহত বুলবুলের জানাজা ক্যাম্পাসে হবে। জানাজায় শরিক হতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তার চলে আসার পেছনে অপরাধমূলক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’

‘আমরা উর্মির মোবাইল ও কললিস্ট চেক করে দেখেছি। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারও সাথে উর্মির মোবাইল যোগাযোগ ছিল না। তার মোবাইলে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বুলবুল। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।

বুলবুল হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন,  কামরুল ইসলাম (২২), আবুল হোসেন (১৮) ও মোহাম্মদ হাসান (১৮)। তাদের সবার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকা টিলারগাওয়ে। তাদের মধ্যে কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে  বুলবুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাকে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের সামাজিক গোরস্তানে বাবার পাশে তাকে শায়িত করা হয়।