ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কারাগারে সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কারাগারে সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা

জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল বৃহস্পতিবার দিবাগত (৭ মে) রাত পৌনে ১টার দিকে সিলেট নগরীর বনকলাপাড়াস্থ আব্বাসী জামে মসজিদ থেকে এতেকাফরত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার মামলায় শাহীনূর পাশাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শুক্রবার (৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির করা হলে বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহীনূর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার পাটলী বড়বাড়ির মৃত আবদুল ছাত্তারের ছেলে। তিনি বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর জোটের প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পুলিশ বলছে- গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তিন দিনের সহিংসতার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হেফাজতের এই নেতার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-নাশকতায় মদদ ও উসকানি দেওয়া এবং দেশের অভ্যন্তরে অপতৎপরতাসহ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে সিলেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ মার্চ সদর উপজেলার ভূমি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার মামলায় শাহীনূর পাশা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) জিসানুল হক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতার ঘটনায় শাহীনূর পাশা চৌধুরীর ইন্ধন রয়েছে। তদন্তে তাঁর নামও বেরিয়ে এসেছে।