মাঠে আনোয়ার-বাবুল, আরিফের ‌নিরবতায় কৌতুহল!

মাঠে আনোয়ার-বাবুল, আরিফের ‌নিরবতায় কৌতুহল!

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সরগরম সিলেটের অলিগলি। এই নির্বাচন নিয়ে প্রথমদিকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েই দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে সরব রয়েছেন তিনি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে এখন আলোচনা একটাই; কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষনা দিয়েছে। তবে বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। আরিফ নিজেও রয়েছেন ‘রহস্যজনক নিরবতায়’। নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট অবস্থানের প্রশ্নে দিচ্ছেন কৌশলী জবাব।

এদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন নিয়ে মাঠে আছেন সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. নজরুল ইসলাম বাবুল।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।

সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্য সফর করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে ‘সিগন্যাল’ পেয়েছেন বলে দাবি করেন আরিফ। তবে ‘সিগন্যাল’ কী তা এখনও জানা যায়নি।

যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আরিফুল হক চৌধুরী জানান, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। তবে এই নগরের জনগণের আশা-আকাঙ্খার বিষয়ে আমি অবহিত আছি। তাদের এই আশার মূল্যায়ন আমি করবো।

মেয়র আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তিনি আমাকে একটি সিগন্যাল দিয়েছেন। তিনি কী সিগন্যাল দিয়েছেন তা অচিরেই আমি খোলাসা করবো। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে আমার অবস্থানও দ্রুত স্পষ্ট করবো।

গত ১ মে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সহযোগী সংগঠনের এক সমাবেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়নে টানা দুইবারের এই মেয়র জানান, ‘অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। তবে সিলেটের প্রেক্ষাপটে আমরা নির্বাচনে যাব।’ কেন সিলেট সিটি করপোরেশনে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে আগামী ২০ মে রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করে কারণ জানাবেন বলে জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য।

এদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন নিয়ে মাঠে আছেন সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. নজরুল ইসলাম বাবুল।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত মেয়র পদে মোট ৫ জন মনোনয়ন ফরম কিনেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে দুজন দলীয়ভাবে ও তিনজন স্বতন্ত্র হিসেবে কিনেছেন মনোনয়ন। মেয়র পদে মনোনয়ন কেনা পাঁচজন হলেন- মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাত পাখা), মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান (স্বতন্ত্র) ও সামছুন নুর তালুকদার।