যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছেন, তারা পালিয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছেন, তারা পালিয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যারা প্রতিহত করতে চেয়েছেন, তারা এখন পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশী অনেক রাষ্ট্র যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না, তারাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকটি আসনে গড়ে সাতজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল, তারপরও সেসব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এবারের নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও উৎসাহ ব্যাঞ্জক হবে। অনেক উন্নত দেশে যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি হয় না, তার চেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি হবে ইনশা আল্লাহ।

নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশের সব রাষ্ট্রযন্ত্র কাজ করছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন যা চাচ্ছে সরকার তা বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন দেশের বেশিরভাগ ইউএনও, ওসিদের বদলি করেছে। অনেক ডিসি-এসপিদের বদলি করেছে। অতীতে এরকম ঘটনা ঘটেনি। সবমিলিয়ে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনেক কঠিন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টি আমাদের মিত্র। ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র রক্ষায় ও অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। এ নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি আমাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় পার্টিসহ আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালেও জোটবদ্ধ নির্বাচন হয়েছিল। এ নির্বাচনেও আলোচনা চলছে। তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তবে আমাদের অনেকের সঙ্গে কৌশলগত জোট হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনো প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলে সেটা আমরা দলগতভাবে দেখবো।

পরে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের উদ্যোগে নির্দেশনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।