কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ!

কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ!

গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশ নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে শ্রমিকদের অযথা হয়রানি করছে, মামলা দিচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি, গাড়ির কাগজপত্র কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে অক্ষম হলে কিংবা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরীর উপশহর মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও জনসাধারণ। মোড়ের চারপাশের সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে কয়েকটি ট্রাক আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এই খবর পেয়ে পরিবহন শ্রমিকরা উপশহর মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ট্রাফিক পুলিশ বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কাগজপত্র ও ফিটনেসবিহীন এবং অবৈধ পার্কিং করা যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মামলার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ গাড়ি রেকিংও করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের এমন তৎপরতায় পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, ট্রাফিক পুলিশ সম্প্রতি ‘বাড়াবাড়ি’ করছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। অযথা মামলা দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে চালকদের।

সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির কোনো শেষ নাই! পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ! সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মামলা দেয়।’

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে কাঁচাবাজারে মালামাল আনলোড করে কয়েকটি ট্রাক বেরিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে তিন-চারটি গাড়িকে আটকে মামলা দেয় পুলিশ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করে। তাদের আশ্বাসে সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।’

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের সাথে ঝামেলার কারণে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তারা বলছে যে, ট্রাফিক পুলিশের প্রসিকিউশন সম্প্রতি অতিরিক্ত হচ্ছে, বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থা ধরে রাখতে চায়। কোনো ঝামেলা হোক, এটা চায় না পুলিশ।’