সিলেটবাসীর ভোগান্তির কথা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেটবাসীর ভোগান্তির কথা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডশেডিং বন্ধের মাধ্যমে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে ফোন দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম চৌধুরী জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জুয়েল জানান, পবিত্র মাহে রমজানে সিলেট নগরবাসী বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন খবর পেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে দু’বার ফোন দেন। ফোনে তিনি চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে লোডশেডিং বন্ধে সহযোগিতা চান।

জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি ও কয়েকটি কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সারাদেশে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পুরোদমে উৎপাদনে নেওয়ার কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে চলমান বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রমজান মাসে সিলেটবাসী বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন।এই সংকটে সিলেটবাসীকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানান।তবে শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন জানান, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা সবচাইতে বেশি বিপাকে।গতকাল নগরীর একটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মার্কেট বন্ধ করে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু, তারা কোনমতে, সংশ্লিষ্টদের এ থেকে বিরত রেখেছেন।এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে বলে জানান তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি আফজাল রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি গতকাল বিউবো সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মূলত: বিভিন্ন উৎসবে বর্ণিল আয়োজনে সমস্ত পূঁজি বিনিয়োগ করে মালামাল ক্রয় করে ব্যবসা করার জন্য। বিগত কয়েক বছর অতিমারি করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসায়ীরা অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।ব্যবসায়ীরা অতি আশা নিয়ে এ বছরের ঈদুল ফিতরে একটু ভালো ব্যবসা করার আশায় ছিলো।কিন্তু অতি সম্প্রতি অতিমাত্রায় অসহনীয় গরম ও ঘনঘন বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ। ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ক্রেতা সাধারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সুপারশপ গুলোতে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে। কাঙ্কিত ব্যবসা করতে না পারার কারণে ব্যবসায়ীরা ঈদের ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন।