কুশিয়ারায় বাড়ছে পানি, ‘খোঁজ নেই’ পাউবো কর্তারা

কুশিয়ারায় বাড়ছে পানি, ‘খোঁজ নেই’ পাউবো কর্তারা

হবিগঞ্জে প্রতিমূহূর্তে পরিবর্ত হচ্ছে প্রধান নদ-নদীর পানির অবস্থান। কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। নদীর পানি বাড়া নিয়ে যখন তীরবর্তী মানুষের মতে আতঙ্ক বিরাজ করছে তখনও ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তারা। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

১২ ঘন্টায় ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কালনি-কুশিয়ারার পানি আজমিরীগঞ্জ অংশে বিদৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এর আগে বুধবার বিকেলে পানি ছিল ৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে কমেছে খোয়াই নদীর পানি। যেটি গতকাল বিপৎসীমার ওপরে ছিল সেখানে আজ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।তবে ব্যতিক্রম পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে নদীর পানির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কোনো তথ্যই দিতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেসবুক পেজ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ০৫.০৭.২০২৩ তারিখ সকাল ৯টা থেকে ৬.০৭.২০২৩ তারিখ সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির আপডেট জানিয়েছিলেন। এরপর সারাদিনের পানির কি অবস্থান সেই তথ্য জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে আর কোনো আপডেট নেই বলে জানান সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী।

আজ বিকেলের পরে আর কোথাও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা জানাতে চাইলে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘‘আমরা সারাদিনে একবারই পানির তথ্য সংগ্রহ করি। এর বাহিরে আর খবর নেয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই আর নেই না।’’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘পাহাড়পুর বাজার এলাকায় সকাল থেকে পর্যন্ত প্রায় ৫ ইঞ্চি পরিমান পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’’একই এলাকার আরেক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘পানি উঠলে ক্ষতি আমরারউ অইব। পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কোনো ক্ষতি নাই। চিন্তাউ নাই। তারা ‘‘নাকে তেল দিয়া ঘুমাইরাউ’’।’’

আলাপকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘’বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতোমধ্যে সবার সাথে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে।’’